একজন ব্যক্তি মুসলিম হওয়ার পর তাঁর প্রথম কাজই হল, ফরজ ইলম ও আমল শেখা এবং তা পালন করা। এটাই ঈমানী সফরের সূচনা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ অর্থ: হে মুমিনগণ! তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা: ২০৮) এই আয়াত আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে যে, ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশের অর্থ হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যা ইলম ছাড়া সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআন ও হাদীস—এই দুই মূল উৎসই হচ্ছে ইলমের ভিত্তি। তবে পুরো কুরআন-হাদীস সবার জন্য শেখা জরুরি নয়। বরং, সবার জন্য যে জ্ঞান শেখা আবশ্যক তাকেই বলা হয় ফরজে আইন ইলম। হাকীমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানবী (রহ.) বলেন: "যে আমলের যে হুকুম, তার ইলম হাসিল করারও একই হুকুম। ফরজ আমলের ইলম ফরজ, ওয়াজিবের ইলম ওয়াজিব, সুন্নতের ইলম সুন্নত, হারামের ইলম ফরজ।" সুতরাং, সঠিক আমল করার জন্য সঠিক ইলম অপরিহার্য।